নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে জমি দখলে মামলা দিয়ে কলেজের এক দপ্তরীকে হয়রানীসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে জায়গার মালিক ও কলেজের দপ্তরী অলি উল্লাহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভোগী অলি উল্লাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগে জানান, উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ব্লকের পশ্চিম পুকুরিয়া পাড়া এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে ও বদরখালী ডিগ্রী কলেজের দপ্তরী অলি উল্লাহ পৈত্রিক জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘকাল যাবত ভোগ দখল করে আসছে। ওই ভোগদখলকৃত জায়গা বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন শেয়ার ভিত্তিক জমি-জমার স্থলাভিষিক্ত বর্তমান মূল সদস্য হচ্ছে ফয়েজ আহমদের ছেলে শাহাদাত হোসাইন। সমিতির তার নামীয় শেয়ারের ৭৫ কড়া জমি হয়।
পিতার মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময়ে পারিবারিক দেনা পরিশোধেরর কারণে জায়গা-জমি ভাগ বন্টন হয়নি। উক্ত জমি ভাগ বন্টন করার জন্য বদরখালী সমিতির উপ-আইনের বিধানমতে ভাগজাতনামা সম্পাদনের জন্য অলি উল্লাহ বাদী হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতিতে সালিশী মামলা নং-১৯৮/২০২০ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী দাবি করেন, তাঁদের পৈত্রিক জায়গা-জমি বন্টন না হওয়ার পূর্বে আমার পাঁচ বোন লায়লা বেগম, রেনুয়ারা বেগম, মুবিনা আক্তার, সাদিয়া বেগম ও সামু তপসীলোক্ত জায়গায় তাদের জমি আছে দাবি করে বেশ কিছুদিন ধরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বসতভিটার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখ আমার দখলীয় বসতি ও নার্সারি খামারি জায়গায় পাঁচ বোন মিলে ভাড়াটিয়া লোকজনের নেতৃত্বে ব্যাপক হামলা চালিয়ে দখলীয় জমির বাগানের রোপনকৃত বিভিন্ন জাতের ফলদ গাছ কেটে সাবাড় করেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে ভুক্তভোগী জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দখলীয় জমি ও বাগানের জায়গা জবর-দখল নিতে বেশ কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওযার পরও গত ২৬ ডিসেম্বর ওই জায়গা দখলে নিতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা উল্টো আমাকে ও আমার দুই ছেলে ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে বোন মুবিনা ইয়াছমিন বাদী হয়ে জি.আর ৫২১/২০ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে নানা ধরণের হুমকি-দমকি দিয়ে বিভিন্ন হয়রানী করে আসছে।
বিরোধীয় জায়গা নিয়ে ভুক্তভোগী বদরখালী কলেজের দপ্তরী অলি উল্লাহ বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এম.আর মামলা ১৩৮৪/২০২০ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিরোধীয় জায়গা সরেজমিন তদন্তপূর্বক এসিল্যান্ড চকরিয়াকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চকরিয়াকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অলি উল্লাহ’র বোন মুবিনা ইয়াছমিনের নেতৃত্বে জবর দখলের চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে।
এ নিয়ে জায়গার মালিক ও কলেজের দপ্তরী অলি উল্লাহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত: